শিরোনাম

প্রকাশঃ ২০২২-০৭-১৭ ১২:৪৪:৪১,   আপডেটঃ ২০২৪-০৪-১৬ ১০:২৮:৩৬


কুমিল্লায় যাত্রীদের পকেট কাটছে বাস মালিকরা ‘‘টিকিটে লেখা ১৮০ নেয়া হচ্ছে ২৩০ টাকা’’

কুমিল্লায় যাত্রীদের পকেট কাটছে বাস মালিকরা ‘‘টিকিটে লেখা ১৮০ নেয়া হচ্ছে ২৩০ টাকা’’

নিজস্ব প্রতিবেদক 

সরকারি অফিস আদালতসহ সকল প্রতিষ্ঠান খুলছে। কর্মব্যস্ত মানুষ ফিরছেন রাজধানী ঢাকায়। তাই যাত্রীর চাপ বেড়েছে কুমিল্লা টু-ঢাকা রুটের সকল বাস সার্ভিসেই। যাত্রীর এই চাপের সুযোগ নিচ্ছেন বাস মালিকরা। ১৮০ টাকার ভাড়া ২৩০ টাকা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এই টাকা কায়দা করে সাংকেতিক সংখ্যা ব্যবহার করে আদায় করা হচ্ছে। 

যাত্রীদের টিকিট দেখে ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দুইটি আসনের টিকিটের জন্য যদি কেউ ৫০০ টাকার নোট দেন তাহলে টিকিটে লেখা থাকে ৪০। দুইটি টিকিটের দাম ২৩০ করে ৪৬০ টাকা। ৪০ দিয়ে বুঝানো হয় সেটা গাড়িতে দেয়া হবে। 

আরেকটি টিকিটে দেখা যায়, ০ কম দিয়ে হাতের লেখায় শুধু ২৩ লেখা। অর্থ্যাৎ ২৩০ টাকা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করা হয় শুধু প্রশাসনের দৃষ্টি এড়াতে।  

ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে দেখা দেখে, কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী বাস তিশা প্লাসের কাউন্টারের লম্বা লাইন। লাইনে প্রায় ৩০ জনের বেশি যাত্রী দাঁডানো। যদিও টিকিট নেওয়াতে কোন অন্য উপায় মালিকরা নিচ্ছেন না কিন্তু টিকিটের দাম নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। টিকিটে লেখা ভাড়া ১৮০ টাকা। কিন্তু তিশা প্লাস কর্তৃপক্ষ নিচ্ছেন ২৩০ টাকা। যা স্বাভাবিক ভাড়ার তুলনায় ৫০ টাকা বেশি। এছাড়াও শাসনগাছা, কুমিল্লার জাঙ্গালিয়াসহ প্রায় সকল বাস স্টান্ডেই যাত্রীর চাপ থাকলেই বেশি ভাড়া নেয়া হয় বলে জানা গেছে। তবে কুমিল্লা থেকে ঢাকা ছাড়া অন্য কোন রুটের কাউন্টারে তেমন যাত্রী দেখা যায়নি। 

চাঁদপুর থেকে বাসের টিকিট না পেয়ে ঢাকা যেতে বোগদাদ সার্ভিসের বাসে করে কুমিল্লার বিশ্বরোড আসেন মতিঝিল এলাকার ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, চাঁদপুর থেকে এসে আধাঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিয়েছি। টিকিটের গায়ে লেখা ভাড়া ১৮০ টাকা। কিন্তু তারা ভাড়া নিচ্ছেন ২৩০ টাকা করে। এটাতো নিয়ম হতে পারেনা। 

পরিবারের চার সদস্যকে নিয়ে লালমাইয়ের আবদুল জলিল ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হয়েছেন। তার কাছ থেকে ৯২০ টাকা রাখা হলে তিনি এত বেশি ভাড়া রাখার কারণ জিজ্ঞেস করেন। এসময় কাউন্টারে থাকা ম্যানেজার বলেছেন, ঈদের ভাড়া বেশি হয়, যাইলে যাবেন না যাইলে নাই।

ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক বলেন, ঈদের আগেও গেলাম ১৮০ টাকা দিয়ে। এখন মানুষ নিরুপায় ২৩০ বললেও যেতে হবেই। কারণ প্রায় সবাই কর্মজীবী। 

অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিশা প্লাস কাউন্টার কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড শাখার ডিরেক্টর বিমল চন্দ দে বলেন, আমরা যখন ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাই তখন আমাদের গাড়ি খালি থাকে। তাই যদি আমরা আগের ভাড়াতেই নেই আমাদের লোকসান গুনতে হবে। যেকারণে আমরা ভাড়া ২৩০ টাকা নিচ্ছি। তাছাড়া এটা আমরা নিয়ম মেনেই নিচ্ছি। 

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, আমরা নজর রাখছি। এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ প্রদান করা হবে। 



www.a2sys.co

আরো পড়ুন