শিরোনাম

প্রকাশঃ ২০২২-০৮-৩০ ১৮:১৬:০৭,   আপডেটঃ ২০২৪-০৪-১৮ ১২:০০:২৬


তিতাসের রাজপথ দখলে আ'লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

তিতাসের রাজপথ দখলে আ'লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

নিজস্ব প্রতিবেদক 

কুমিল্লার তিতাসে বিএনপি-আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ থেকে ১৫জন বিএনপি নেতাকর্মী আহতের খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৮টায় তিতাস উপজেলা সদরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়াসহ সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় ছাত্রদল নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদের বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে তিতাস উপজেলা  বিএনপি। আগে থেকেই উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশের কথা জানিয়েছে উপজেলা বিএনপি। সমাবেশের ঘোষণার পর থেকেই তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি মজিবুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, শেখ ফরিদ প্রধান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম সোহেল সিকদার, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন বাবু, তিতাস উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মুরাদের নেতৃত্বে তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। এবং তারা সমাবেশের আগের রাত থেকেই উপজেলা সদরে আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয়। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপি'র নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে তিতাস সদরের গৌরীপুর-হোমনা সড়কের বন্দরামপুর সবুজবাগ এলাকায় একত্রিত হয়। পরে আওয়ামী লীগের ধাওয়া খেয়ে স্থান ত্যাগ করে বিএনপির নেতারা। এ ছাড়াও সদরের মৌটুপি, শিবপুর, শাহাপুর, জিয়ারকান্দি এলাকায়ও ধাওয়া খেয়ে সভাস্থল ত্যাগ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় বিভিন্ন স্থানে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দু'পক্ষই ইটপাটকেল ছুঁড়ে। একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা সভাস্থল ত্যাগ করে।

এ বিষয়ে তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুন্সি মুজিবুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। তিতাসেও চেষ্টা করছিল। আমাদের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী আপা আমাদের বলেছেন তিতাসে যেন বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি না করতে পারে। এবং তাদের প্রতিহত করতে। আমরা কাউকে হামলা করিনি। তারা ভয়ে পালিয়েছে। 

এদিকে তিতাস উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি ভূঁইয়া বলেন, আমাদের আগে থেকেই একটা বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে যাচ্ছিলাম। এসময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করে। আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। সংখ্যাটা এখনই বলতে পারছিনা।

তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, সকালে দুই পক্ষের দৌড়াদৌড়ির ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ আহতের খবর পাইনি। সকাল থেকে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ছিল। এখনও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি।



www.a2sys.co

আরো পড়ুন