শিরোনাম

প্রকাশঃ ২০২৩-০৪-১৬ ২২:০৮:৪৮,   আপডেটঃ ২০২৪-০৩-২৯ ০১:০০:১৫


কুমিল্লায় সোনার বাংলা ট্রেনের ৭ বগি লাইনচ্যুত হয়ে আহত ২৫ : তিন ঘন্টা পর স্বাভাবিক

কুমিল্লায় সোনার বাংলা ট্রেনের ৭ বগি লাইনচ্যুত হয়ে আহত ২৫ : তিন ঘন্টা পর স্বাভাবিক

 নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রচন্ড গরমে কারণে সিগন্যাল পয়েন্টের তার ছুটে গিয়ে পয়েন্ট না মিলার কারণে ঢাকা চট্টগ্রাম রেলপথের কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন দাড়ানো পার্সল ট্রেনের পিছন দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ইঞ্জিনসহ ৯টি ভোগী লাইনচ্যুত হয়। এতে লাইন ছিন্নভিন্ন হয়ে ভোগীর ওপর ভোগী উঠে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ২৫ জন যাত্রী আহত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

রবিবার (১৬-এপ্রিল) ৬টা ৪৫ মিনিটের সময় হাসানপুর রেল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। আড়াই ঘন্টা ঢাকা চট্টগ্রাম রেলপথ ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ২ ঘন্টা পরে লাকসাম ও ফেনী থেকে উদ্ধার কর্মীরা আসে। তিন ঘন্টা পর ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

 সরেজমিনে গিয়ে যাত্রী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি হাসানপুর রেলস্টেশনের ঢুকার সময় সময় সিগন্যাল পয়েন্টের না মেলানোর কারণে আফলাইনের দুই নাম্বার লাইনে দাড়ানো পার্সল ট্রেনের পিছন দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের পিছন দিয়ে ধাক্কা দিয়ে সোনার বাংলা ট্রেনের ইঞ্জিন সহ ৭টি ও পার্সল ট্রেনের ২টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে। লড়াইগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে একটার ওপর একটা ভোগী উঠে যায়। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় ফ্যারমেসিগুলোতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘটনাটি হওয়ার পর পরই স্টেশন মাস্টার পালিয়ে যায়। 

এ বিষয় ট্রেন যাত্রী জামাল হোসেন বলেন, তার বাড়ি জামালপুর জেলায়। বাড়িতে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম থেকে এ ট্রেনে উঠি। হঠাৎ ট্রেনটি অনেক কাঁপাতে থাকে পরে বিকট শব্দ করে থেমে যায়। দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে অন্য যাত্রীদের উদ্ধার করি। এতে কেউ মারা যায়নি। আহত হয়েছে অনেক। 

দায়িত্বে থাকা জিআরবি পুলিশ সদস্য আবসার বলেন, ট্রেনের বিতরে নামাজরত অবস্থায় পড়ে নাক দিয়ে রক্ত বাহির হয়। কোন ভাবে ট্রেন থেকে ফ্যারমেসিতে চিকিৎসা নেন। কেউ মারা গেছে কি না তার জানা নেই। 

স্থানীয় হাসানপুর বাজার ব্যবসায়ী বাচা মিয়া বলেন, আমরা ইফতার করতেছি। এ সময় হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। দ্রুত বাহিরে গিয়ে দেখি ট্রেন এক্সিডেন্ট করে। মসজিদের মাইকে এলাউচ করে আশেপাশের হাজার হাজার লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। এতে কেউ মারা যায়নি। 

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ও তিনি নিজে ঘটনাস্থলে চলে আসেন। আহত হয়েছে অনেক। কেউ মারা যায়নি



www.a2sys.co

আরো পড়ুন