শিরোনাম
- হোম
- 'আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আবার আওয়ামী লীগে ফেরাতে চাই'
'আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আবার আওয়ামী লীগে ফেরাতে চাই'

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ঘরে ঘরে উন্নয়নে ছোঁয়া লাগিয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীরাও তাদের ক্ষমতার সময়ের তুলনায় ভালো আছে। কেউ না খেয়ে নেই। এটা বিএনপি নেতাকর্মীরাও নিশ্চিতভাবে স্বীকার করবেন। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার একটি অভিযাত রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও এসকিউ গ্রুপের চেয়ারম্যান এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম। কুমিল্লার কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বক্তব্যে বলেন, কুমিল্লার বরুড়ায় এই দলের মাঝে গ্রুপিংয়ের কথা সবার জানা। আর এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের ১৪ বছরের ক্ষমতায় কি কি হয়েছে তাও জানা৷ আমি গ্রুপিংয়ে জড়াতে চাই না। গ্রুপিংয়ের কারণে এই উপজেলার অনেক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ থেকে সরে গেছে। তাদের মনে ক্ষোভ আছে। ক্ষোভ ঝেরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আবার আওয়ামী লীগে ফেরাতে চাই। শুধু গ্রুপিংয়ে আলাদা তাদের নয়। পুরো উপজেলা আওয়ামী লীগকে সামনের নির্বাচনে এক জায়গায় চাই। আওয়ামী লীগে কোন গ্রুপিং নেই। এটা আমি বিশ্বাস করি।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার পূর্বপুরুষরাও বরুড়া উপজেলার উন্নয়নে অবদান রেখে গেছেন। গত ত্রিশ বছর ধরে আমি বরুড়ায় কাজ করছি। নির্বাচনের পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু মানুষের দোরগোড়ায় গিয়ে দেখেছি বরুড়ায় কাজ করার অনেক জায়গা আছে। কিন্তু আমার সীমাবদ্ধতা আমার পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে না। সরকারি সহযোগিতা ছাড়া এত বড় উপজেলায় কাজ করা খুব কঠিন।
এ সময় তিনি প্রবাসে কর্মরতদের দুঃখ দুর্দশার কথা উল্লেখ করে বলেন, যখন বিদেশে কোন কাজে যাই তখন দেখি টয়লেট গুলেতেও আমাদের ছেলেরা কাজ করে আর বড় শপিংমল গুলিতে ডিরেক্টর, ম্যানেজারসহ ভালো পদে কাজ করে অন্যান্য দেশের লোকেরা। বুকটা ফেটে যায়। অনেক সময় কথা বলি। তাদের বেশিরভাগই শিক্ষিত। শুধু পরিকল্পনার অভাবে তারা নিজের মেধাকে কাজে লাগাতে পারে না। বরুড়া নিয়ে আমার এমন চিন্তা আছে। বরুডার ছেলের পড়াশোনা করে যেন থেমে না যায় সে ব্যবস্থা যেন তারা নিজেরাই করতে পারে তার জন্য কিছু একটা করা। ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা। আমার কোম্পানিতে ৮ হাজারের বেশি লোক কাজ করে। বেশিরভাগই বরুড়ার। বরুড়ার জন্য যা করা দরকার সবই করতে চেষ্টা করি। কিন্তু কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক লোক রাস্তার ছবি নিয়ে চলে আসে। হাতে ধরে কান্নাকাটি করে। দুই একটা রাস্তা করে দেখেছি। অনেক মানুষ আসা শুরু হয়েছে। কিন্তু এত বড় কাজগুলি করা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং। তাই চিন্তা করেছি ইনস্টিটিউশন হলে অন্তত আমার আরো সুবিধা হবে। এই উদ্দেশ্য নিয়ে আগাচ্ছি। নির্বাচনে যদি মনোনয়ন পাই তাহলে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচন করব। যদি না পাই যিনি মনোনয়ন পাবেন তার পক্ষ হয়ে আমি ও আমার নেতাকর্মীরা কাজ করবে।
মতবিনিময় সভায় জাতীয় ও কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানীয় দৈনিকের কর্মরত সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করে এসকিউ গ্রুপের গণসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আজম।

মনোনয়নপত্র জমা দিলেন এমপি সীমা, প্রত্যাশা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ম.. বিস্তারিত

বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে উৎসাহিত করবো, জ্বালাও পোড়াও মানুষ মেনে নেবে না - এলজিআরডি মন্ত্রী
দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতি.. বিস্তারিত

কর্মীদের ওপর হামলা হলে জবাব দেওয়া হবে --এমপি সীমা
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে নগর.. বিস্তারিত

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন অধ্যক্ষ আফজল খানের কন্যা এমপি সীমা
কুমিল্লা -৬ (সদর) আসনে স্বতন্ত.. বিস্তারিত

কুমিল্লা বোর্ডে হার কমেছে পাসের, ফলাফলে এগিয়ে মেয়েরা
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবারের.. বিস্তারিত