শিরোনাম

প্রকাশঃ ২০২৪-০৯-২৭ ২০:১৭:২০,   আপডেটঃ ২০২৪-১০-০৯ ২১:৪৪:০২


কুমিল্লার দেবীদ্বার : দুর্গন্ধের উৎপত্তি খোঁজতে গিয়ে পাওয়া গেলো মানুষের হাত

কুমিল্লার দেবীদ্বার : দুর্গন্ধের উৎপত্তি খোঁজতে গিয়ে পাওয়া গেলো মানুষের হাত
নিজস্ব প্রতিবেদক 

চারদিকে তীব্র দুর্গন্ধ। শিয়াল-কুকুরে মাটি আঁচড়ে বের হয় মানুষের একটি হাত। হাত থেকে বের হয় মানুষের গোটা একটি লাশ। ঘটনাটি ঘটে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বারুর-পিরোজপুর গ্রামে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মাটিচাপা দেওয়া অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১ জনকে আটক করা হয়।

লাশটি নুরুল ইসলামের (৪০)। তিনি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার পানিওন্দা গ্রামের মরগিছ ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় নোয়াজ আলী (৬০) নামে একজনকে আটক করেছেন পুলিশ। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার বড়কান্দি এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে।

জানা গেছে, নিহত নুরুল ইসলামকে দিনমজুরের কাজের কথা বলে গত ২১ সেপ্টেম্বর দেবিদ্বার নিয়ে আসে অভিযুক্ত নোয়াজ আলী। দুজনই থাকতেন চরবাকর-এলাহাবাদ সংযোগ সড়কের সাথে বারুর-পিরোজপুর গ্রামের একটি ভাড়া ঘরে। নোয়াজ আলী দেবিদ্বারের বিভিন্ন এলাকায় লোক নিয়ে শ্রমিকের কাজ করতেন।

জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. নাসির বলেন, লাশ দেখার পর আমরা নিহতের সাথে থাকা নোয়াজ আলীকে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ধরে আনি। তখন আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি লোকটা কিভাবে মারা গেছেন?

তিনি এক পর্যায়ে বলেন, চার বছর আগে কবিরাজের মাধ্যমে নোয়াজ আলীর ছেলেকে তাবিজ করে মেরে ফেলে নুরুল ইসলাম। এ থেকেই নোয়াজ আলীর রাগ-ক্ষোভ জন্মায় নুরুল ইসলামের প্রতি। এ ঘটনার চার বছর পর গত ২১ সেপ্টেম্বর কৌশলে কাজের কথা বলে দেবিদ্বার নিয়ে আসেন তাকে। যে ঘরে লাশ পাওয়া গেছে সে ঘরে তারা দুজন থাকতেন। গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ঘুমন্ত নুরুল ইসলামকে গাছের গুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। হত্যা পরপরই একই ঘরে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন।

বারুর-পিরিজপুর গ্রামের মুদি দোকানদার আলী আকবর, রফিকুল ইসলাম ও স্বপ্না বেগম বলেন, সকালে তীব্র দুর্গন্ধ বের হয়। যা সহ্য করার মত ছিলনা। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। কিন্তু কিছুই পাইনি। পরে চরবাকর-এলাহাবাদ সংযোগ সড়ক দিয়ে হাঁটাচলা সময় লোকজন দেখতে পায় সড়কের পাশের একটি ঘরে গর্তের মধ্যে মানুষের হাত। তারা ডাকাডাকি করলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে এই দেখি চিত্র। এরপর আমরা পুলিশ খবর দেই।

দেবিদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এনেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদে দুজনের জড়িত থাকার সত্যতা পাইনি। বাকি একজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজি হওয়ার পর আদালতে প্রেরণ করা হবে।


www.a2sys.co

আরো পড়ুন