শিরোনাম

প্রকাশঃ ২০২০-১২-০৮ ২১:০৮:৪২,   আপডেটঃ ২০২৪-০৩-২২ ১৩:২১:১২


দাউদকান্দির ৬ ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে স্ত্রীদের সংবাদ সম্মেলন

দাউদকান্দির ৬ ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে স্ত্রীদের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

কারাগারে বন্দি থাকা ৬ ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে কুমিল্লায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর একটি পার্টি সেন্টারে ওই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। 

কারাগারে বন্দি থাকা ওই ছয়জন ব্যক্তি হলেন- দাউদকান্দি উপজেলার দশপাড়া গ্রামের খন্দকার আবুল খায়ের, নিজাম উদ্দিন, খোকা মিয়া, আবদুল ওহাব পাঠান, জালাল খন্দকার ও জাহাঙ্গীর আলম। সংবাদ সম্মেলনে এই ছয়জনের মধ্যে নিজাম উদ্দিনের মেয়ে এবং বাকি ৫ জনের স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খন্দকার আবুল খায়েরের স্ত্রী জোবায়দা আক্তার বলেন, গত ১৮ নভেম্বর দশপাড়া গ্রামে খুনি মোশতাকের ভাতিজা নাসিরুল কবির ও যুবলীগ নেতা মাহাবুবুর রহমান বাবুলের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল ওহাব পাঠান ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলা করার জের ধরে খুনি মোশতাকের নাতনী (নাসিরুল কবিরের ভাগ্নি) কাজী রেহা কবির ওই ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি সাজানো লুটপাটের মামলা দায়ের করেন থানায়। পরে ওই মামলায় গত ১ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে ওই ৬জনকে জেলহাজতে পাঠায়। এ ঘটনার ২দিন পর ৩ ডিসেম্বর নাসিরুল কবিরের বাহিনীর আরেক সদস্য তাজুল ইসলাম মীরকে দিয়ে ওই ছয়জনসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি সাজানো দোকান চুরির মামলা করানো হয়েছে কুমিল্লার আদালতে।      

জোবায়দা আক্তার আরও বলেন, খুনি মোশতাকের নাতনী কাজী রেহা কবির মামলায় বলেছেন আগামীগণ বঙ্গবন্ধুর খুনি মোশতাক ও তার পরিবারের দোসর। আমরা বলতে চাই, আমাদের বাড়ি দশপাড়া গ্রামে, আমরা এই সমাজের বাসিন্দা। দশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হওয়া ও আওয়ামী লীগের কর্মী হওয়া কি আমাদের অপরাধ। খুনি মোশতাকের পরিবারের সঙ্গে আমাদের কোন সর্ম্পক নেই। বরং রেহা কবির খুনি মোশতাকের আপন ভাতিজির ঘরের নাতনী। সে প্রতি সপ্তাহে এসে নামধারী যুবলীগ নেতা মাহাবুবুর রহমান বাবুলসহ খুনি মোশতাকের মাজার জিয়ারত করে। সে নিজেই খুনি মোশতাকের দোসর। আমরা তার এবং তাজুলের ওই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই। পাশাপাশি কারাগারে বন্দি থাকা আমার স্বামীসহ ৬ জনের মুক্তির দাবি করছি।




www.a2sys.co

আরো পড়ুন