শিরোনাম

প্রকাশঃ ২০২১-০১-২২ ২২:৫৬:৪০,   আপডেটঃ ২০২৪-০৪-১৯ ১৪:২৮:৩৬


গার্মেন্টকর্মী বিয়ে করলো হেলিকপ্টারে চড়ে!

গার্মেন্টকর্মী বিয়ে করলো হেলিকপ্টারে চড়ে!

অনলাইন ডেস্ক

শখ প্রত্যেক মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর এই শখ পূরণের ইচ্ছা মানুষকে তাড়িয়ে বেড়ায় দূর থেকে বহুদূর। গ্রাম্য প্রবাদে আছে ‘শখের তোলা আশি টাকা’। এই কথার বাস্তব রূপ দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে ফারুক মিয়া।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) ফারুক মিয়া তার বোন-জামাই, তিন বড় বোন ও ভাগ্নিকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে যান কুমিল্লার হোমনা উপজেলার নালাদক্ষিণ গ্রামে। এ সময় হেলিকপ্টারে আসা বর দেখতে এলাকার শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ ভিড় করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দরিদ্র পরিবারের সন্তান ফারুক। চাকরি করতেন রাজধানীর একটি গার্মেন্টস কারখানায়। তারপরও বিয়ে করেছেন হেলিকপ্টারে চড়ে। হেলিকপ্টারে গিয়ে বিয়ে করে এলাকার সবাইকে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন তিনি। আর্থিক অভাব-অনটন থাকলেও প্রয়াত দাদা মরহুম মুনতাজ মিয়ার স্বপ্ন পূরণ করতেই হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করার এই শখ বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার নালাদক্ষিণ গ্রামের কামরুল হোসেনের মেয়ে শাহনাজের সঙ্গে বিয়ে হয় ফারুকের। আকাশ পথে না হলেও নৌপথে আমন্ত্রিত ২০০ জন বরযাত্রী কনের বাড়িতে উপস্থিত হন।

ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি নারায়ণগঞ্জ সাইনবোর্ড এলাকায় একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে কর্মী হিসেবে কাজ করতাম। করোনার কারণে চাকরি চলে যায়। তারপরও হেলিকপ্টারে গিয়ে বিয়ে করেছি। আমার দাদার স্বপ্ন ছিল এটা। সেই স্বপ্ন পূরণ করেছি। তাছাড়া জীবনে তো বিয়ে একবারই হয়।’

তিনি জানান, রাজধানী থেকে এক লাখ ৪৫ হাজার টাকায় ভাড়া করেছেন হেলিকপ্টার। কনের বাড়িতে পৌঁছানোর পর যথাসময়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এভাবে বিয়ে করে তিনি বেশ পুলকিত। কনের বাড়িতে হাজারো লোকসমাগম হয়; বিশেষ করে তাকে বহন করা হেলিকপ্টার দেখার জন্য।

ফারুকের শ্বশুর কৃষক কামরুল হোসেন বলেন, ‘আমি গর্বিত, জামাই হেলিকপ্টারে করে কন্যাকে নিতে এসেছেন। এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে।’

ফারুকের বাবা আকতার হোসেন জানান, তার পাঁচ মেয়ে সন্তানের পর এক ছেলে সন্তান হয়েছে। তার বাবার শখ ছিল নাতিকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করানো। মূলত দাদার শখ পূরণ করতেই অভাব অনটনের মধ্যেও ফারুক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘টাকা পয়সা দিয়ে কী হবে? আমার ছেলে আনন্দ করেছে, এতেই আমরা খুশি।’



www.a2sys.co

আরো পড়ুন