শিরোনাম

প্রকাশঃ ২০২২-০৩-২৬ ১৭:২০:৩৫,   আপডেটঃ ২০২৪-০৪-১৮ ১৩:৩১:৫৫


নাঙ্গলকোটে কৃষকের ধানক্ষেত বেগুনি-সবুজ রঙয়ের পতাকা!

নাঙ্গলকোটে কৃষকের ধানক্ষেত বেগুনি-সবুজ রঙয়ের পতাকা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিনি শিল্পী নন। তবুও রঙ-তুলি ছাড়াই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদলে সাজিয়েছেন নিজের ফসলি জমি। বিশাল মাঠে দুলছে বেগুনি ও সবুজ রঙয়ের পতাকা। এই পতাকা ধান গাছের। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এমন ভিন্নরকম কাজ করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।

খবর নিয়ে জানা গেছে, তিনি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার গোত্রশাল গ্রামের কৃষক কলিম উল্লাহ। দেশের প্রতি ভালোবাসার স্বাক্ষর রাখতে এবার ধরেছেন ভিন্ন পথ। নিজের কৃষি জমিটিকে বানিয়েছেন নীল-সবুজের পতাকা। আর সেই পতাকা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে মানুষ। মন জুড়ানো একখণ্ড বাংলাদেশের চিত্র কৃষক কলিম উল্লাকে যেন ভাসিয়েছে আনন্দের জোয়ারে। একজন কৃষকের এমন দেশপ্রেমে বিস্মিত সবাই। 

শনিবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে কথা হয় কৃষক কলিম উল্লাহর সাথে। তিনি বলেন, উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জোনায়েদ হোসেনের সহযোগিতায় ২০২১ সালে বীজ উৎপাদনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে একটি লাইসেন্স পাই। এরপর নিজ গ্রাম গোত্রশালে ৪২ শতক জমি লিজ নিই। লিজ নেয়া জমিতে চাষের জন্য বেগুনি রঙয়ের ধানসহ বিভিন্ন জাতের ১০ কেজি ধান বীজ কিনে আনি। অনলাইনে দেখেছি বেগুনি রঙয়ের ধানগাছ দিয়ে অনেকেই অনেক কিছু তুলে ধরেছেন। আমারও মনে আসলো জাতীয় পতাকা তুলে ধরার কথা। তারপরই এই কাজ করলাম। জানুয়ারির শেষ দিকে নিজের কৃষি জমিতে মাপ নিয়ে ধানের চারা রোপণ করেছি। পতাকার ভেতরের বৃত্তটা দিয়েছি জিংক সমৃদ্ধ বেগুনি ধান বাংলাদেশ ধানের গাছ দিয়ে। চার পাশে দিয়েছি জিংক সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু -১০০ সবুজ রঙয়ের ধান। এছাড়াও তার চারপাশের বর্ডার দিয়েছি জিংক সমৃদ্ধ ব্ল্যাক রাইস  জাপানি ও জিংক সমৃদ্ধ ব্ল্যাক রাইস  সিঙ্গাপুর ধান দিয়ে। যার রঙ কালো। 

তিনি বলেন, পারিবারিকভাবে আমি সচ্ছল না হলেও এই প্রজেক্ট করায় আমার কোনো সমস্যা হয়নি। কারণ জমিতে ফসলও হয়েছে, আর আর আমার দেশের প্রতি ভালোবাসাও প্রকাশ করতে পেরেছি। এছাড়াও মানুষ ছবি তুলতে থেকে দূর থেকেও আসে। এটা দেখে আমার খুবই ভালো লাগে।

এ বিষয়ে উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জোনায়েদ হোসেন বলেন, আমরা তাকে সবধরনের সাহায্য করেছি। এই চিন্তাটা সুন্দর। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে এমন কাজ করেছেন, যা সব কিছু থেকে ভিন্ন। তার আরও সাহায্য লাগলে আমরা তা করতে প্রস্তুত।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল  বলেন, আমি শুনেছি। এই কাজের জন্য কলিম উল্লাহ সম্মান পাওয়ার যোগ্য। তার কৃষি জমিটি দেখতে যাব। 



www.a2sys.co

আরো পড়ুন