শিরোনাম

প্রকাশঃ ২০২০-১১-২৮ ২৩:২৯:১৪,   আপডেটঃ ২০২৪-০৪-১৮ ১৯:০৭:১৮


কুমিল্লায় অর্থের অভাবে তিন সড়কের কাজ বন্ধ!

কুমিল্লায় অর্থের অভাবে তিন সড়কের কাজ বন্ধ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থের অভাবে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সড়কের উন্নয়নকাজ বন্ধ রয়েছে। এতে প্রকল্প ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি কাজের সময়ও বাড়ছে। এ অবস্থায় নির্মাণাধীন সড়কের কোথাও নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে, কোথাও পিচঢালাই উঠে বালু উড়ছে। কোথাওবা খোয়া-মাটির কারণে হাঁটাচলা দায় হয়ে গেছে।

সড়ক তিনটি হলো বরুড়া-চাঁপাপুর ২৩ কিলোমিটার সড়ক, বরুড়া-খাজুরিয়া ১৯ দশমিক ৫০ কিলোমিটার ও বরুড়া-নিমসার ১৩ দশমিক ৩০ কিলোমিটার সড়ক। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কুমিল্লা সূত্রে জানা গেছে, জেলার মহাসড়কের যথাযথ মান ও প্রস্থ উন্নীতকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১৫৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক তিনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। চলতি বছরে এসব সড়কের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা না থাকায় বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে।

সওজ সূত্রে জানা গেছে, বরুড়া থেকে কালীরবাজার ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) হয়ে চাঁপাপুর পর্যন্ত সড়কের কাজটি পায় কুমিল্লা নগরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরএবি-আরসি প্রাইভেট লিমিটেড অ্যান্ড মশিউর রহমান চৌধুরী। ২০১৮ সালের ৯ ডিসেম্বর কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালের ৮ জুন কাজ শেষ করার কথা ছিল। এই কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এখন পর্যন্ত এই সড়কের ৮৫ শতাংশ কাজ হয়েছে।

বরুড়া-খাজুরিয়া সড়কের ব্যয় ধরা হয় ৫২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে মাটি ভরাট করে সড়ক সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ওই সড়কের হাটপুকুরিয়া থেকে পয়ালগাছা হয়ে খাজুরিয়া পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক। ওই অংশে অসংখ্য গর্ত। সড়কে বালু উড়ছে। ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছেন যাত্রীরা। বরুড়ার দক্ষিণ এলাকার বাসিন্দারা এই সড়ক ব্যবহার করে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কে যান। 

পয়ালগাছা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সড়কের অবস্থা যাচ্ছেতাই। বহু বছর ধরে ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছেন তাঁরা।

২০১৮ সালের ৫ ডিসেম্বর এ সড়কের কাজ শুরু হয়। শেষ হওয়ার কথা ছিল ৪ জুনের মধ্যে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরএবি-আরসি প্রাইভেট লিমিটেড অ্যান্ড মশিউর রহমান চৌধুরী এ কাজ পায়। এই সড়কের ৮০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে বরুড়া-নিমসার সড়কের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৩৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। রাজধানী ঢাকার ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন ওই কাজ পায়। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। গত ২৩ জুন কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। এই সড়কের ৭০ শতাংশ কাজ হয়েছে।

সওজ কুমিল্লার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রেজা-ই-রাব্বি বলেন, সড়কের কাজের শতকরা হিসাব একরকম, কিলোমিটার হিসাব আরেক রকম। বরুড়া-চাঁপাপুর সড়কের ৬ কিলোমিটার, বরুড়া-খাজুরিয়া সড়কের সাড়ে ৯ কিলোমিটার ও বরুড়া-নিমসার সড়কের সাড়ে ৫ কিলোমিটারের কাজ বাকি রয়েছে। মোট বরাদ্দের মধ্যে গত জুন পর্যন্ত ৯৫ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এবার বরাদ্দ ছিল ৪৮ কোটি টাকা। কিন্তু ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ স্থগিত করা হয়। ফলে এ পর্যন্ত টাকা পাওয়া গেছে ১১৯ কোটি টাকা। পুরো টাকা বরাদ্দ পেলে কাজ শেষ হতো। এ অবস্থায় আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সওজের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে গত ৭ অক্টোবর প্রস্তাব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রকল্প ব্যয় ১৭৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে।

সওজ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ বলেন, অর্থ না থাকায় কাজ বন্ধ রয়েছে। বরাদ্দ এলে কাজ শুরু হবে।


সূত্র-প্রথম আলো


www.a2sys.co

আরো পড়ুন