শিরোনাম

প্রকাশঃ ২০২৩-১০-০৭ ১৪:৩৫:০০,   আপডেটঃ ২০২৪-০৫-১৪ ১৪:৩০:২৪


রাতভর ৪ মাসের শিশু থানা হাজতে, অভিযোগ মা এনজিও ঋণের জিম্মাদার

রাতভর ৪ মাসের শিশু থানা হাজতে, অভিযোগ মা এনজিও ঋণের জিম্মাদার

নিজস্ব প্রতিবেদক 

মা এনজিও ঋণের জিম্মাদার হওয়ায় ৪ মাসের শিশু তোহা'কে রাত কাটতে হয়েছে থানা হাজতে। এর আগে পুলিশ মা সুমি আক্তারকে না পেয়ে নিরাপরাধ বাবা মোতালেবকে থানায় এনে ৪ ঘন্টা আটক রেখেছেন। এমন নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগ কুমিল্লার মুরাদনগর থানার ওসি আজিজুল বারী ইবনে জলিলের বিরুদ্ধে। ওসির এমন আচরণের বিষয়টি জানাজানির পর থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় বৈইছে মুরাদনগর জুড়ে।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় শিশুর পরিবারের উপর এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লার মুরাদনগর সদরের উত্তর পাড়া গ্রামের আব্দুল মোতালেবের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৬) তার ভাই দেলোয়ার হোসেনের এনজিও এর ঋণের জিম্মাদার হয়। পরে সেই ঋণের কিস্তির টাকা দিতে না পারায় জিম্মাদার সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয় এনজিও কোম্পানি। সুমি আক্তারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আসে মুরাদনগর থানায়। শুক্রবার বিকেলে মুরাদনগর থানার এসআই আলমগীর ওয়ারেন্ট ভূক্ত আসামি সুমি আক্তারকে না পেয়ে তার অসুস্থ স্বামীকে থানায় এনে ৪ ঘন্টা হাজতে আটক রাখে। বিষয়টি জানতে পেরে সুমি আক্তার কোলের শিশু তোহাকে নিয়ে থানায় হাজির হলে স্বামী মোতালেবকে ছেড়ে কোলের শিশুসহ সুমিকে হাজতে আটক করে। ৪মাসের শিশুটিকে বুকে নিয়ে অন্ধকারে রাত কাটান সুমি। 

বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী ব্লাস্ট কুমিল্লা শাখার প্রবীণ আইনজীবী সৈয়দ নুর-উর-রহমান বলেন, একজনের অপরাধে অন্যজন সাজা দিতে পারে না। তবে শিশুদের জন্য আলদা সেল থাকে। যদি পুলিশ হাজতে শিশুকে রাখে তাহলে এটা ঠিক হয়নি।

স্বামী আব্দুল মোতালেব অভিযোগ করে বলেন, যদি কোন ধরনের অপরাধ করে থাকে সেটি আমার স্ত্রী করেছে। তার অপরাধে পুলিশ আমাকে ৪ ঘন্টা থানা হাজতে আটক রাখে কিভাবে। আমার শিশু কন্যা তোহা কি অপরাধ করেছে? তাকেও সারারাত থানা হাজতের ভিতরে আটক রাখা হলো! পুলিশ চাইলে কি আমার স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে থানার ভীকটিমদের রুমে রাখতে পারতো না? আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযুক্ত মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল বারী ইবনে জলিল বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি সুমি আক্তার ও তার শিশু সন্তানকে থানা হাজতে রাখার কারণ আমার থানায় কোন নারী সেল নেই। অপরদিকে স্বামীকে তুলে এনে চার ঘন্টা আটকে রাখার বিষয়টি সঠিক নয় বলে অস্বীকার করেন।

মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিযুষ চন্দ্র দাস বলেন, বিষয় আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।   

কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।



www.a2sys.co

আরো পড়ুন