শিরোনাম

প্রকাশঃ ২০২৪-০৩-০৩ ২১:০০:২৭,   আপডেটঃ ২০২৪-০৫-১৩ ২০:৩৯:৩৭


ঘোড়ার প্রচারণায় ঐক্যবদ্ধ বিএনপি নেতারা, ফুরফুরে কায়সার

ঘোড়ার প্রচারণায় ঐক্যবদ্ধ বিএনপি নেতারা, ফুরফুরে কায়সার

নিজস্ব প্রতিবেদক 

দলে দলে বিএনপি নেতাকর্মীরা কায়সারের নির্বাচনী প্রচারের বহরে ছুটছেন। অনেকে জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আছেন আবার অনেকে সাবেক। প্রতিদিন যে ওয়ার্ডে যাচ্ছেন সে ওয়ার্ডেই তার গ্রুপে ভিড়ছেন নেতাকর্মীরা। এতে একরকম ফুরফুরা মেজাজেই প্রচারণা করছেন এই প্রার্থী। 

জানা গেছে, আগামী ৯ মার্চ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক দুই বিএনপি নেতা। তারা হলেন, সাবেক দুইবারের মেয়র ও বিএনপির সাবেক নেতা মনিরুল হক সাক্কু ও কুমিল্লা মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক নিজাম উদ্দিন কায়সার৷ তিনি বিএনপির ত্রাণ ও পূণঃবাসন সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের শ্যালক।

নিজাম উদ্দিন ও মনিরুল হকের প্রচারণার বহর পরিদর্শন করে দেখা গেছে, নিজাম উদ্দিনের প্রচারণার বহরে স্থানীয় নেতাদের আধিক্য। যেদিন যে ওয়ার্ডে যান সেদিন সেই ওয়ার্ডেই নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। কিন্তু অন্য গ্রুপ থেকে যারা তার গ্রুপে ভীড়ছেন তাদের নিজেই মালা দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন। এ দৃশ্য এখন প্রতিদিনই দেখা যায়। 

সবশেষ শুক্রবার (৩ মার্চ) যুবদলের সাবেক সিনিয় যুগ্ম সম্পাদক বদরুল হাসান রাব্বু দক্ষিণ চর্থা এলাকায় কয়েকশো নেতাকর্মী নিয়ে প্রচারণার বহরে যোগদেয়। এসময় নিজাম উদ্দিন কায়সার তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু অতীতে সাক্কু গ্রুপে থাকলেও তার কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে এবার আটঘাট বেঁধে নেমেছেন কায়সারের পক্ষে। মনিরুল হক সাক্কুর নিজের ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন গত নির্বাচনে সাক্কু গ্রুপের নিবেদিত প্রাণ থাকলেও এই নির্বাচনে কায়সারের পক্ষে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করছেন। এমন শতশত নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করেই মাঠে আছেন। 

শনিবার (৩ মার্চ) ২২ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগে বের হলে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সদর দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চৌধুরী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মামুনুর রশিদ মজুমদার, ২২ নম্বর ওয়ার্ড সাবেক কমিশনার মো. আনোয়ার মেম্বার, ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক বাবুল মিয়াসহ বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কায়সারের বহরে যুক্ত হয়। তারা গত নির্বাচন গুলোতে প্রকাশ্যে মাঠে নামেননি। 

অপরদিকে সাক্কুর নির্বাচনি বহরে কমছে ভীড়। অনেকে পূর্বে সাক্কুর সাথে থাকলেও বর্তমানে কেউ গিয়েছি এমপি বাহার গ্রুপে। আবার বিএনপি নেতাদের বড় অংশ নিরব ভূমিকায় আছে অথবা কায়সারের গ্রুপে যোগ দিয়েছে। এতে করে মনিরুল হক সাক্কু পড়েছেন বিপাকে। 

সাক্কু গ্রুপ থেকে চলে আসা দুই বিএনপি নেতা নাম না প্রকাশ করা শর্তে বলেন, ২০১৭ সালে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে সালাম করার পর তার আওয়ামী ঘেষা মনোভাব পুরোপুরি প্রকাশ্যে আসে। এছাড়াও বিএনপি নেতাকর্মীদের টাকার বিনিময়ে ঠিকাদারি কাজ দেয়া ও কর্মীদের নির্যাতনের কথা সবার মুখে মুখে। আমরা তার গ্রুপে থেকেও মামলা খেয়েছি। তাই সাক্কু গ্রুপ ছেড়েছি।

শনিবার প্রচারণায় বের হয়ে নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা মাঠে নেমেছে। তারা ভোটের ওপর আস্থা রাখতে চায়। বিএনপি নির্বাচন বিমুখ ছিল। এখন ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনে তারা এসেছে মাঠে৷ আমি নির্বাচন কমিশনকে বলেছি যেন পূর্বের মামলা নিয়ে তাদের হয়রানি না করা হয়। এবারের ভোট যদি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় তাহলে জনগণের আস্থা পূনরায় ফিরে পাওয়ার একটা চান্স থাকবে। 

মনিরুল হক সাক্কু প্রচারণায় নেমে বলেন, বিএনপি আমার সাথে আছে। আমি তৃণমূল রাজনীতি করি। কুমিল্লার মানুষ জানে বিএনপি কারা।



www.a2sys.co

আরো পড়ুন