শিরোনাম

প্রকাশঃ ২০২৪-০৪-০৩ ১৬:২৮:৫৮,   আপডেটঃ ২০২৪-১০-০৯ ২১:৫১:৫৮


কুমিল্লায় ঠিকাদার পেটানোর ঘটনায় সেই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লায় ঠিকাদার পেটানোর ঘটনায় সেই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক 

কুমিল্লায় শিক্ষা প্রকৌশলের দরপত্র নেওয়াকে কেন্দ্র করে ঠিকাদারকে পেটানোর ঘটানায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) প্রথম প্রহরে দায়ের করা মামলায় চারজনের নাম উল্লেখসহ মোট ১৯জনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা মো. ফিরোজ হোসেন।

মামলার আসামিরা হলেন, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, ধর্মসাগর পাড় এলাকার সোহাগ (৪০), রেইসকোর্স এলাকার ইয়াছিন (৩৭), শাসনগাছা এলাকার জালাল ওরপে কালা জালাল (৩৮)।

কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগে মো. মাসুদুল ইসলাম নিজে বাদি হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন। আমরা অভিযোগ গ্রহণ করেছি। এবিষয়ে আইনি ব্যবস্থা চলমান।

এর আগে সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টুসহ তার নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন ঠিকাদার মাসুদুল ইসলাম বাবু। কুমিল্লা নগরীর টমছম ব্রিজ এলাকার শিক্ষা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রিন্টু কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সমর্থক গ্রুপের নেতা। অন্যদিকে ঠিকাদার মাসুদুল ইসলাম বাবু সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আঞ্জুম সুলতানা সীমা গ্রুপের নেতা। দীর্ঘদিন বাহার গ্রুপের নেতারা একচেটিয়া শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরসহ বিভিন্ন অফিসে টেন্ডার নিয়ে কাজ করে আসছিল। আর আঞ্জুম সুলতানা সীমা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হওয়ার পর তার গ্রুপের নেতারা সিন্ডিকেট ভেঙে টেন্ডার পান। এরপর থেকে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব আরও জোরালো হয়ে ওঠে। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারি নিয়ে উভয় গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছে।

হামলার পর ঠিকাদার মাসুদুল জানান, সোমবার দুপুরে তিনি কাজের বিষয়ে কথা বলতে শিক্ষা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে যান। এসময় তার পিছু নেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রিন্টু ও তার নেতাকর্মীরা। পরে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল মাসুদকে পেছন থেকে ধরে ফেলে। তারা মাসুদকে শিক্ষা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তাকে বেদম মারধর শুরু করে। এ সময় কয়েকজন পিস্তল বের করে তার মুখে আঘাত করে এবং টেন্ডারের জন্য এলে হত্যার হুমকি দেয়।



www.a2sys.co

আরো পড়ুন